চট্টগ্রামে মাদ্রাসাছাত্র নিহতের ঘটনায় তদন্ত ও বিচার দাবি মাদ্রাসা পরিচালকের
চট্টগ্রামের বায়েজিদ অনন্যা আবাসিক এলাকায় মাদ্রাসাছাত্র হাবিবুর রহমান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের একটি মাদ্রাসা মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি জানান ওমর ফারুক আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আবু তৈয়ব। এ সময় চট্টগ্রামের বিভিন্ন বেসরকারি মাদ্রাসার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
গত বুধবার মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক। বিনা অপরাধে কেউ যেন শাস্তি না পায়।
তবে ঘটনার পর কিছু সংখ্যক এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে মাদ্রাসায় হামলা চালালে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
নিহত হাবিবুরের পরিবারের দাবি, এর আগে শিক্ষকদের অত্যাচারে হাবিবুর কয়েকবার মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। এবার নিখোঁজ অবস্থায় মাদ্রাসার চারতলা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর মাদ্রাসার চার শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকদের হাতে ছাত্র নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে ছাত্র নিহতের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করা হয়।
ওমর ফারুক আল-ইসলামিয়া মাদ্রাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আবু তৈয়ব বলেন, ‘খুব দুঃখজনক যে কিছু মুসলমান ভাই মাদ্রাসার এই ফিতনা সমস্যার মধ্যে পরের দিন থেকেই শত শত ছাত্র শিক্ষককে কিছু বহিরাগত লোকজন গিয়ে এমনভাবে মারছে। এরপর বিভিন্ন গ্রুপ আসতেছে যাইতেছে। মাদ্রাসায় মসজিদে তালা লাগায়ে দিয়েছে। তবে এখন আমরা দখল নিয়ে ফেলেছি।’