অধিদপ্তর হচ্ছে না এনআইডি : ইসি
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) একটি আলাদা অধিদপ্তর হতে পারে কি না, তা জানতে চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে ইসির কাছে মতামত জানতে চেয়েছিল।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে মতামত জানাতে সোমবার বিকেলে ৪৭তম কমিশন সভায় বসে ইসি। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আইনগতসহ নানা কাজে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আপাতত এনআইডিকে নতুন অধিদপ্তর করার সুযোগ নেই কমিশনের।
সোমবার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ইসি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের জন্য ২৭৭টি পদ সৃজনের জন্য একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়। ওই প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইসিকে চিঠি দিয়ে এনআইডিকে আলাদা অধিদপ্তর করা যায় কি না, সেই মতামত জানতে চায়।
সূত্র আরো জানায়, চিঠিতে বলা হয়, বিশাল কর্মযজ্ঞ সফলভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের একটি উইং হিসেবে এনআইডি অনুবিভাগের প্রস্তাবিত জনবল কাঠামো দ্রুত অনুমোদন প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে অনুবিভাগের প্রস্তাবিত জনবল প্রদান করা সম্ভব না হলে প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের অধীন একটি অধিদপ্তর হিসেবে প্রস্তাবিত জনবল জরুরি অনুমোদন প্রদানের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে মো. রফিকুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এনআইডির (জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ) জন্য আমরা জনবল নিয়োগের একটি প্রস্তাবনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। সেই প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এনআইডিকে ইসির অধীনস্ত একটি অধিদপ্তর করা যায় কি না, সেই মতামত জানতে চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আমাদের চিঠি দিয়েছিল। আজ আমরা সব কমিশনার কমিশন সভায় বসেছিলাম। এই বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা যদি এনআইডিকে আলাদা একটি অধিদপ্তর করতে যাই সেক্ষেত্রে আইনগতসহ নানা ঝামেলা হতে পারে। অনেক আইন পরিবর্তন করা লাগবে, যেটা এখন সম্ভব না। এখুনি এনআইডিতে লোকবল দরকার আমাদের। সেটা হলেই আপাতত চলবে। এনআইডির কার্যক্রম যে অবস্থায় চলছে সেই অবস্থায় চলবে। পরে কখনো ভেবে দেখা যাবে এসব নিয়ে।’
এসব বিষয়ে ইসির কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের। তাদের ভেতরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন যুগ্ম সচিব বলেন, ‘যদি এনআইডিকে আলাদা অধিদপ্তর করা হয় তখন এনআইডি কর্তৃপক্ষ নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশ কতটা শুনবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এ ছাড়া এনআইডির বর্তমান যে গতি সেটা কমে যাবে বলে কমিশনের ধারণা।’