ফরিদপুরের ১২ মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত
ফরিদপুরের ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিলের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
ওই ১২ মুক্তিযোদ্ধার করা পৃথক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে ফরিদপুরের ১২ মুক্তিযোদ্ধার সনদ ও গেজেট বাতিলের জন্য মুক্তিযুদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) চেয়ারম্যান, মহাপরিচালক, সহকারী পরিচালক (অর্থ) ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অমিত দাশ গুপ্ত। তিনি জানান, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে এ ১২ জনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বলে অভিযোগ করা হয়। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শুনানি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে তাদের গেজেট ও সনদ বাতিলের জন্য জামুকা সভায় উপস্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। ১১ নভেম্বর জামুকার ৬০তম সভায় বিষয়টি আলোচিত হওয়ার পর এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সিদ্ধান্তে বলা হয়, জামুকার চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মোতাবেক তাঁদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) গেজেট ও সনদ বাতিলের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ সিদ্ধান্ত ২৬ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১২ মুক্তিযোদ্ধা ৪ এপ্রিল দুটি রিট করেন।
অমিত দাশ গুপ্ত আরো জানান, এ ১২ জন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা। অধিকাংশের নাম লালমুক্তি বার্তায়ও রয়েছে। এরপরও অভিযোগের ভিত্তিতে জামুকা তাদের সনদ বাতিলের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। সোমবার আদালত রুল জারি করেছেন। একইসঙ্গে জামুকার সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
ফরিদপুরের সদরপুরের হারুন অর রশিদসহ পাঁচজন এবং একই উপজেলার মো. মজিবুর রহমানসহ সাতজন এ দুটি রিট দায়ের করেন।