সড়ক দুর্ঘটনার চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু বায়ু দূষণে
সারা পৃথিবীতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যুর চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বায়ু দূষণজনিত রোগের কারণে। বিশ্বজুড়ে একযোগে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক বায়ু পরিস্থিতি-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট (এইচইআই) এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) যৌথ উদ্যোগে বুধবার ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, পুষ্টিহীনতা, অ্যালকোহল বা ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে বা সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যুর চেয়েও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বায়ু দূষণজনিত রোগের কারণে।
এতে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালে বায়ু দূষণের কারণে দুনিয়াব্যাপী ১৪ কোটি ৭০ লাখ বছর সমপরিমাণ সুস্থ জীবন সময়ের ক্ষতি হয়।
বায়ুতে যেসব ক্ষতিকর উপাদান আছে, তার মধ্যে মানবদেহের জন্য সবচেয়ে মারাত্মক উপাদান হচ্ছে ধাতব পদার্থ (পিএম) ২.৫। এশিয়ার বায়ুর গুণমান অনেক খারাপ, বিশেষ করে বাংলাদেশের জনগণ ১৯৯০ সাল থেকে পিএম ২.৫ মাত্রার মধ্যে বসবাস করছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের কারণে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে অন্তত ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
সার্বিকভাবে দীর্ঘমেয়াদী বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক, ফুসফুসের ক্যান্সার ও ফুসফুসের রোগে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৩০ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য সরাসরি পিএম ২.৫ উপাদান দায়ী।
বায়ু দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। জাতিসংঘের তথ্য মতে, প্রতিদিন পৃথিবীব্যাপী ৯৩ শতাংশ শিশুই দূষিত বায়ুতে নিঃশ্বাস নিতে বাধ্য হয়। দূষিত বায়ু বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের মস্তিষ্কে ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গে দ্রুত ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়।