পহেলা বৈশাখে ইভটিজিং প্রতিরোধে মাঠে থাকবে বিশেষ টিম
এবার পহেলা বৈশাখে নারী ও কিশোরীদের প্রতি বখাটে তরুণদের ইভটিজিং প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম মাঠে থাকবে। ইভটিজারদের তাৎক্ষণিক শাস্তি প্রদানে সঙ্গে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পুলিশ, র্যাব, কোস্টকার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরাসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবছর ইভটিজিংয়ের মতো কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এ কারণে এবার আমরা এ বিষয়টিতে বেশ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। ইভটিজারদের ধরতে পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাদা পোশাকের সদস্যরাও মাঠে সক্রিয় থাকবে। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিশেষ বিশেষ স্থানগুলোতে থাকবে।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার পুরান ঢাকাও নিরাপত্তার আওতায় আনা হবে। আমরা দেখেছি, পুরো ঢাকা শহরেই পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি বেশ আনন্দের সঙ্গে পালন করা হয়। এ অনুষ্ঠানটি এখন জাতীয় অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ কারণেই পুরো রাজধানীকে আমরা নিরাপত্তার আওতায় আনছি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, বিকেল ৫টার মধ্যে সব অনুষ্ঠান শেষ করতে হবে। ৬টার মধ্যে স্থান ত্যাগ করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এবার পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানটি আমরা কোনো অঘটনের আশঙ্কা করছি না। তবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। রাজধানীর রমনা উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র সরোবর, হাতির ঝিলসহ যেসব স্থানে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান হয় সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রার সামনে পেছনে পুলিশ কর্ডন করে রাখবে। শোভাযাত্রার কেউ মুখে মুখোশ পরতে পারবে না। বাঁশি বাজানো নিষেধ। ১৩ এপ্রিল রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্টিকার যুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানান তিনি।