মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে আগুন, একই পরিবারের চারজন দগ্ধ
গাজীপুরে মশার কয়েল জ্বালানোর সময় এক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
এতে গৃহকর্তা আবদুল জলিল (৪৭), তাঁর ছেলে ইয়াসিন মাহমুদ (১৩), মেয়ে জিয়াসমিন (২০) ও মেয়ের জামাই গাড়িচালক আবুল হাসান (২৩) দগ্ধ হয়।
কাশিমপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ রানা জানান, চক্রবর্তী এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করে প্রায় পাঁচ বছর ধরে সপরিবারে বসবাস করে আসছেন চাঁদপুরের আবদুল জলিল। শুক্রবার তাঁর মেয়ে জিয়াসমিন তাঁর স্বামী আবুল হাসানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে জিয়াসমিন তাঁর স্বামী আবুল হাসান ও ছোট ভাই ইয়াসিন মাহমুদ বাড়ির একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পাশের অপর একটি ঘরে আবদুল জলিল ও তাঁর স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে ঘুম থেকে উঠে জিয়াসমিন মশার কয়েল জ্বালাতে যান। কয়েল জ্বালানোর সময় অসতর্কতার কারণে আগুন জিয়াসমিনের পরার কাপড়ে ধরে যায়। পরে আগুন ওই কক্ষের বিছানায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা অন্যরা দগ্ধ হয়। একপর্যায়ে আগুন ওই ঘরে থাকা টিভিতে লেগে গেলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ঘরের একপাশের দেয়াল ধসে পাশের ডোবায় পানিতে পড়ে যায়। তাদের চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে জিয়াসমিনের বাবা আবদুল জলিল তাদের উদ্ধার করতে ওই কক্ষে এগিয়ে গেলে তিনিও দগ্ধ হন।
এলাকাবাসী দগ্ধ চারজনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় শেখ ফজিলাতুন্নেসা মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে শনিবার সকালে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে জিয়াসমিন ও তাঁর স্বামী আবুল হাসানের অবস্থা গুরুতর।
দগ্ধ আবদুল জলিল জানান, মশার কয়েল থেকে ঘরে আগুন ধরে যায়। এ সময় তাঁর ছেলে, মেয়ে ও মেয়ের জামাই দগ্ধ হয়। একপর্যায়ে তাদের উদ্ধার করতে গেলে তিনিও দগ্ধ হন। আগুনে তাঁর মেয়ে জিয়াসমিনের শরীরের ৮৭ ভাগ পুড়ে গেছে বলে চিকিৎসকরা তাঁকে জানান। এ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, গাজীপুরে মশার কয়েল থেকে আগুন লেগে চারজন দগ্ধ হয়েছে। শনিবার সকালে দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জিয়াসমিন ও তাঁর স্বামী আবুল হাসানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অন্য দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জিয়াসমিনের অবস্থা গুরুতর।