আশুগঞ্জে ‘নৌকা’র কার্যালয় ভাঙচুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘নৌকা’ প্রতীকের দুটি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন বিলের দক্ষিন পাড়ে এবং সোহাগপুর চকবাজারের মাদ্রাসা সংলগ্ন সাববাড়ি এলাকায় ‘নৌকা’ প্রতীকের অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আগামী রোববার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ‘আনারস’ প্রতীকের মো.আনিসুর রহমানের ভাই আবুল কালাম আজাদ সুমন ও রফিক মোল্লার নেতৃত্বে ৫০/৬০জন সমর্থক হঠাৎ উপজেলার সোহাগপুর গ্রামের বিলের দক্ষিন পাড়ে ‘নৌকা’ প্রতীকের অফিসে হামলা চালায়। এ সময় অফিসের আসবাবপত্র, প্রধানমন্ত্রীর ছবি ও নৌকা ভেঙে পাশের ডোবায় ফেলে দেয়ার অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। একই সময়ে ‘সামান্তা স্টোরে’ ভাঙচুর করে মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান ‘সামান্তা স্টোরে’র মালিক শাহ আলম।
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী মনিরুজ্জামান নাহিদ বলেন, ‘আমি নৌকা প্রতীকের অফিসে সংরক্ষিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের ঘটনার দ্রুত সুষ্ঠু বিচার চাই। এদিকে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আনিসুর রহমানকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ছোট ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় আমাদের মিছিলে হামলা করে আমাদের ৭/৮জন গুরুতর আহত করে। এ ঘটনা ধামা-চাপা দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে নৌকার সমর্থকরা তাদের অফিস ভাঙচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।’ এ ঘটনা নিয়ে সোহাগপুর গ্রামে থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো.হানিফ মুন্সি বলেন, ‘দুর্গাপুর ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে আমার দুটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করা হয়েছে। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের কালবিলম্ব না করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।আমি কোন অশান্তি চাই না।’ তিনি বলেন, ‘একটা পক্ষ আমার জনপ্রিয়তাকে ধংস করার লক্ষে এসব কাজ করছে।আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানচ্ছি।’
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মাসুদ আলম বলেন, ‘সোহাগপুরে নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাংচুরের ঘটনা দেখে এসেছি ।তবে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি।অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যারা দোষী তাদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’