মানিকগঞ্জে নৌকায় সিল মারার অভিযোগে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আটক
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর ২৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে সিল মারার অভিযোগে কেন্দ্রটির সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আটক হয়েছেন। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জিয়নপুর খাঁপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আটক ওই কর্মকর্তার নাম রুহুল আমিন। তিনি দৌলতপুরের খোর্দ ছাতিয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মোমিন জানান, ওই কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রুহুল আমিন। বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে এলে তারা তাঁকে আটক করে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানায়।
ভোট কারচুপির অভিযোগে ওই উপজেলার আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল কাদের ও আমিনুর রহমান ভোট বর্জন করেছেন। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ভোট বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মত্ত সরকারি প্রাথমিক বালক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ইভিএম মেশিনের যান্ত্রিক সমস্যা থাকায় নির্ধারিত সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি। পরে সেনা সদস্যরা মেশিনটি ঠিক করলে সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ভোট শুরু করা হয় বলে জানিয়েছেন, ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবু বকর সিদ্দিক।
এ ছাড়া মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আরো চার-পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। পরে অবশ্য তা ঠিক করে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন সরদার বলেন, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা ইভিএম মেশিন সঠিকভাবে অপারেটিং করতে না পারার কারণে শুরুতে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল।
তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের সাতটি উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর, সাটুরিয়া, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি দৌলতপুর, ঘিওর ও সিঙ্গাইর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।