সাবেক যুবলীগ নেতাকে বর্তমান নেতার গুলি
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু লোকজন নিয়ে একটি সালিশ বৈঠকে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার সময় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদল গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার দুপুরে ডাঙ্গার কেন্দুয়াবো গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত অন্যরা হলেন কেন্দুয়াবো গ্রামের কাজল (৩৫), শাহালম (২৮), ইব্রাহিম (৩০) ও নাজিম উদ্দিন (৪৫)।
আহতদের স্বজন আলমগীর ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কেন্দুয়াবো গ্রামের বাতেনের সঙ্গে একই গ্রামের মামুনের বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যের দারস্থ হন মামুন। শনিবার উভয়পক্ষকে নিয়ে কেন্দুয়াবো মাদ্রাসা মাঠে সালিশ দরবারে বসেন ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাদল। এরই মধ্যে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে করে ৩৫-৪০ জনকে সঙ্গে নিয়ে সালিশে আসেন ডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দেলু। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেলু ও তাঁর ভাতিজা আরিফ সালিশের বিচারক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাদলের ওপর হামলা করেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় দেলুর সমর্থকরা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখমও করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন মোল্লা বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়য়ের জের ধরে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।