বিড়াল হত্যায় তরুণী গ্রেপ্তার, পরে জামিনে মুক্ত
বিড়াল ছানা হত্যা করে ফেসবুকে ভিডিও প্রকাশের অভিযোগে ইশরাত জাহান মেহজাবীন নামের এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অবশ্য আদালতে হাজিরের পরে তাঁকে জামিনে মুক্তিও দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার ঢাকার সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আশ্রাফ এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা ও কল্যাণ আইনের মামলায় গতকাল শুক্রবার আসামি ইশরাতকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা নয়ন দেবনাথ। পরে ওই তরুণীর আইনজীবী সালাম তালুকদার জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তরুণীকে জামিনে মুক্তি দেন।
নথি থেকে জানা যায়, কেয়ার ফর পস নামীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসাইন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার পরে রাজধানীর গোপীবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে ইশরাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এজাহার থেকে জানা যায়, গত ১৭ মার্চ রাতে একটি বিড়ালছানা হত্যা করেন ইশরাত। এর পরে গত ১৯ মার্চ নিজের ফেসবুক আইডিতে হত্যার ভিডিও ও মৃত বিড়ালের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বেশ কিছু ছবি আপলোড করেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ১০ মে রাজধানীর রামপুরায় দুই মাসহ ১৪ কুকুর ছানাকে জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে হত্যার দায়ে এক যুবককে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন সিএমএম আদালত। মামলাটি করেন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান রাকিবুল ইসলাম এমিল।
জানা যায়, এর আগেও প্রাণী হত্যার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়। কিন্তু সেসব মামলায় শুধু অর্থদণ্ডের মাধ্যমে পার পেয়ে যান আসামিরা।
প্রাণী কল্যাণ আইনে যা আছে?
বাংলাদেশে প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইন, ১৯২০-এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি অকারণে শুধু সহিংসতা প্রদর্শনে কোনো প্রাণীকে হত্যা করে তাহলে তিনি অর্থদণ্ড, কারাদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
আইনটিতে আরো বলা হয়েছে, প্রাণী হত্যার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। তবে কোনো গোষ্ঠী ধর্ম বর্ণের রীতি পালনের জন্যে বা কোনো বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে এমনটা ঘটলে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে না।