আ.লীগ কোনোদিন গণতন্ত্র চায়নি : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনোদিন এ দেশে গণতন্ত্র চায়নি। তারা চেয়েছে একদলীয় শাসন। ১৯৭৫ সালে তারা বাকশাল কায়েম করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করে নাই।’
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সাজা প্রত্যাহার, নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন আবদুল মঈন খান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তাঁর নেতৃত্বেই দেশে পুনরায় বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পুনরায় এ দেশে গণতন্ত্র কায়েম করা হবে, সে গণতন্ত্র হবে বহুদলীয় গণতন্ত্র। সে গণতন্ত্র বাকশালী গণতন্ত্র নয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে এ দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।’
যেকোনো দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘আজকে প্রমাণিত হয়েছে, এই সরকার জনগণের ওপর অলিখিত বাকশাল তৈরি করে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু তারা চিরদিন এটা করতে পারবে না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ। স্বাধীনতাকামী মানুষ এর প্রতিবাদ করবে।’
বর্তমান সরকার লুটপাটের রাজনীতি করছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আজকে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। দরিদ্র জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে বর্তমান সরকার মেগাপ্রজেক্ট করছে। এতে করে লাভবান হচ্ছে সরকারের গুটিকয়েক পোষা লোকজনের।’
‘গতকাল জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে সারা বিশ্বে সুখী দেশগুলোর তালিকা দেওয়া হয়েছে। বলতে লজ্জা হয়, বাংলাদেশ সুখী দেশ হিসেবে যে পজিশনে ছিল, সেখান থেকে ১০ ধাপ নিচে নেমে গেছে। সরকার সব সময় বলছে, বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের রোল মডেল, তাহলে বিশ্বের সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০ ধাপ নিচে নামল কেন? এর জবাব সরকারকে দিতে হবে, ধোঁকাবাজি দিয়ে চিরদিন টিকে থাকা যায় না,’ মন্তব্য করেন মঈন খান।
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, রোকেয়া চৌধুরী তামান্না, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার প্রমুখ।