দেশে ভোট বলে কিছু নেই : শামসুজ্জামান দুদু
দেশে ‘কর্তৃত্ববাদী শাসন’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দেশে ভোট বলে কিছু নেই। এখন উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে, কিছুদিন আগে উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। সে নির্বাচনে কী হয়েছে, আপনারা দেখেছেন। আপনারা দেখেছেন ডাকসু নির্বাচন। এই ডাকসু ভাষা আন্দোলনের প্রতীক, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক, ছাত্র এবং সরকার ইসির বুদ্ধিতে যে নির্বাচন করেছে, এটি কোনোভাবেই জাতি মেনে নিতে পারে না। এটাও কোনো নির্বাচন হয় নাই।’
আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের এ আহ্বায়ক বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য, স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশে একদিন মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, এখন তার লেশমাত্র নাই। সেই গৌরবময় ইতিহাস ফিরিয়ে আনার জন্য এখানে যাঁরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দাঁড়িয়ে আছেন; সেই মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে আমরা আছি, ছাত্রসমাজ, এ দেশের যুবসমাজ, মেহনতি, শ্রমিক-কৃষক সকলেই তাঁদের সঙ্গে আছে।’
দেশে ১৯৭২-৭৫-এর অপশাসন, বাকশালী শাসন পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘লড়াই একটা হবে, দিন-তারিখ দিয়ে নয়। লড়াই হবে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতান্ত্রিক সরকার, লুটেরা যারা ব্যাংককে ফাঁকা করেছে, যারা এই দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে তাদের বিরুদ্ধে। এই লড়াই খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই।’
শামসুজ্জামান দুদু সবাইকে ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটানোর’ জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। তিনি বলেন, ‘পতন ঘটানোর জন্য প্রথম কাজ খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আর দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে অপশাসনকে উচ্ছেদ করা। তাহলে দেশে গণতন্ত্র ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করে আনার অর্থই হচ্ছে অপশাসনকে রোধ করা। তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার অর্থই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে সম্মানিত করা। এই গোলামির জিঞ্জির ভেঙে ফেলার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে, তাদের প্রতি সম্মান করা।’
সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি হাজি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ও কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।