আমাদের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি : প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে যেন আজকের শিশু আগামী দিনে সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ পায়, সুন্দর একটা জীবন পায়, সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি।’
আজ রোববার সকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোর সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম মধুমতিপারের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। আর এই টুঙ্গিপাড়াতেই চিরশায়িত আছেন কালের এই মহানায়ক। তাই জাতির পিতার ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকশ দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে মহান এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সমাধি প্রাঙ্গণে দোয়ায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এরপর শিশু কিশোর সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে লেখা চিঠি নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করে জাতির পিতার জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশু অধিকার যাতে নিশ্চিত হয়, সেজন্য ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বাংলাদেশে শিশু আইন প্রণয়ন করেন। এমনকি তখন জাতিসংঘও শিশু অধিকার আইন করেনি। জাতিসংঘ এই আইন করেছিল ১৯৮৯ সালে। জাতির পিতা তা করে যান ১৯৭৪ সালে। কত দূরদর্শিতা ছিল তাঁর নেতৃত্বে!’
শিশুরাই একদিন দেশের নেতৃত্ব দেবে জানিয়ে এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে এখন থেকেই নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। আমার জীবনটাও আমি উৎসর্গ করেছি। আমরা দুটি বোন আমাদের সবকিছু উৎসর্গ করেছি দেশের জনগণের জন্য। দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে, উন্নত জীবন পায়, সেটাই আমাদের সব থেকে বড় পাওয়া। সে কারণেই আমরা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি যে, বাংলাদেশকে গড়ে তুলব যেন উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আজকের শিশু আগামী দিনে সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ পায়, সুন্দর একটা জীবন পায়। সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি।’
পরে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আঁকা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক চিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।