চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জে দুইদিন ধরে বাস ধর্মঘট চলছে
চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে কিশোরগঞ্জে দুইদিন ধরে বাস ধর্মঘট চলছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দূর-দূরান্ত থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে আসা শত শত যাত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চাঁদাবাজি বন্ধসহ শ্রমিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে গতকাল বুধবার থেকে ধর্মঘট পালন করছেন বাস মালিকরা। ফলে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকার মহাখালীগামী অনন্যা পরিবহনের সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অনন্যা বাস পরিবহন মালিক সমিতির চেয়ারম্যান ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সদস্য মো. আনিছুজ্জামান বাবুল বলেন, গাইটাল বাসস্ট্যান্ড এখন কার্যত স্থানীয় চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি। চাঁদা না দিলে চালক ও শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। বিষয়টি একাধিকবার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশানকে জানানোর পরেও কোনো প্রতিকার না হওয়ায় মালিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছে। যদি এর দ্রুত সুরাহা মীমাংসা না হয় তাহলে প্রয়োজনে সব রুটে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
অনন্যা বাস পরিবহন মালিক সমিতির সমন্বয়কারী সুলতান আহমেদ জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসীদের নির্বিচারে চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে শ্রমিকরা অতিষ্ঠ। চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য এভাবে অব্যাহত থাকলে পরিবহন ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।
আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ধর্মঘটের বিষয়টি জানা না থাকায় জেলার হাওরাঞ্চলসহ দূর-দূরান্ত থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা অনেক যাত্রী বাস টার্মিনালে এসে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এ সময় অনেক যাত্রীকে ফেরত যেতে দেখা যায়।
ঢাকায় জরুরি কাজ আছে এমন যাত্রীদের সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে গাজীপুর বা বাসে নরসিংদী হয়ে সায়েদাবাদে যেতে দেখা যায়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে দ্রুত আলোচনা করে বাস চলাচলের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।