মুক্তি মিলছে না সাবেক এমপি রানার
সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় জামিন পেলেও দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় পাওয়া অন্তবর্তীকালীন জামিন স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এতে করে এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না সাবেক এই এমপি।
এর আগে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান এ স্থগিতাদেশ দেন।
এ সময় আদালতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। এর আগে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মাললায় হাইকোর্ট আওয়ামী লীগের সাবেক এ এমপিকে ছয় মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছিলেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় আমানুর রহমান খান রানাকে ছয় মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে অন্য এক মামলায় জামিন স্থগিত হওয়ায় রানার কারামুক্তি হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আমানুর রহমান খান রানা।
এর আগে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাঁদের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন। পরের দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এক বছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন।
পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরণ মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খানের দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলারও আসামি।
ওই মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১৮ মে আমানুর রহমান খান রানাকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠান আদালত। এরপর এ মামলায় নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন রানা। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ মার্চ রানাকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছিলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।