‘পকেটে মাদক ঢুকিয়ে ফাঁসালে পুলিশই হাজতে যাবে’
পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেসুর রহমান বলেছেন, মাদক নির্মূলের নামে পুলিশ কোনো নিরীহ ব্যক্তির পকেটে মাদক ঢুকিয়ে ফাঁসানো বা হয়রানির চেষ্টা করলে তাকে হাজতে পাঠানো হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ টাউনহলে অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে জেলা পুলিশ আয়োজিত ই-ট্রাফিক পুলিশিং এবং মাদক ও জঙ্গিবিরোধী কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোখলেসুর রহমান।
জনসাধারণকে কোনোভাবেই ভোগান্তির মধ্যে ফেলা যাবে না, পুলিশের প্রতি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সভায় উপস্থিত স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘মাদক নির্মূলে শুধু পুলিশের ওপর দায়িত্ব দিলেই হবে না, ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও সমাজের নেতৃস্থানীয়দেরও দায়িত্ব আছে। আমরা ইচ্ছে করলেই সব কিছু করতে পারি না। যদি সবার সহযোগিতা পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই আমরা মাদক ও জঙ্গিমুক্ত শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে পারব।’
পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাস উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম প্রমুখ।
এর আগে জেলা পুলিশের ই-ট্রাফিক পুলিশিং কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মোখলেসুর রহমান। সে সময় তাৎক্ষণিকভাবে মাথায় হেলমেট না থাকায় ই-ট্রাফিকিংয়ের আওতায় এক মোটরসাইকেলচালককে জরিমানা করেন তিনি। ই-ট্রাফিক পুলিশিংয়ের ফলে এখন থেকে অতিরিক্ত ঝামেলা পোহানো ছাড়াই সহজে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে পারবে সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মোখলেসুর রহমান।