রাশেদ খান মেননকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের দাবি
হেফাজতে ইসলামীর মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ আহমেদ বাবুনগরী বলেছেন, ‘রাশেদ খান মেননকে সংসদ থেকে বের করা না হলে আলেমরা কঠোর অবস্থানে যাবে।’
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি দেন জুনায়েদ আহমেদ।
কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা এবং রাশেদ খান মেননের কওমি মাদ্রাসা নিয়ে কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ‘কাদিয়ানীরা কাফের, তাদের যারা কাফের মনে করে না তারাও কাফের। রাশেদ খান মেনন তাদের পক্ষ নিয়ে কওমি মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ কথা বলেছে, তারাও তাদের দলের অন্তর্ভুক্ত।’
তিনি বলেন, ‘এ দেশে কওমি মাদ্রাসা সাধারণ মুসলমানদের দ্বীনের বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছে। দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে এবং অন্যায়মুক্ত দেশ গড়তে অবদান রাখছে আলেমরা। তাদের নিয়ে ধৃষ্টতা দেখানো সাহস তারা কীভাবে পায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা তার বক্তব্য ফিরিয়ে নেয়ার অনুরোধ করছি। না হলে এ দেশের তাওহিদি জনতা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।’ তিনি বলেন, ‘রাশেদ খান মেনন মারা গেলে তার জানাজা ও মুসলমানের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না। মেনন-ইনুদেরকে এ দেশের মাটি গ্রহণ করবে না।’
কাদিয়ানীদের অমুসলিম দাবি হেফাজত মহাসচিব বলেন, ‘কাদিয়ানীরা ইসলামি পরিভাষা ব্যবহার করতে পারবে না। তারা তাদের এবাদত খানাকে মসজিদ বলতে পারবে না। এ দেশে হিন্দু, খৃষ্টান বৌদ্ধরা তাদের ধর্ম নিয়ে নিরাপদে আছে। কাদিয়ানীরাও আলাদা ধর্ম হিসেবে থাকবে। কিন্তু মুসলিম হিসেবে থাকতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা রাশেদ খান মেননের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। ‘ইসলাম ও ওলামাবিদ্বেষী মেনন ও ইনুদের’ এবারের মন্ত্রিপরিষদে না রাখায় সরকারকে স্বাগত জানানো হয় সমাবেশ থেকে।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।