মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন, বহিষ্কার প্রসঙ্গে মনসুর
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ার পর নিজ দল গণফোরাম থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, ‘আমার বহিষ্কার প্রসঙ্গে আমি কোনো মন্তব্য করাটাকে প্রয়োজন মনে করি না। এ বিষয়ে মন্তব্য সম্পূর্ণ নিষ্প্রয়োজন।’
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার কিছু পরে সংসদ ভবনে তাঁর কার্যালয়ে সুলতান মোহাম্মদ মনসুরকে শপথ বাক্য পাঠ করান। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হন গণফোরামের মনসুর। সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের আরেক প্রার্থী মোকাব্বির খানের শপথ নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি শপথ নেননি।
শপথ গ্রহণ শেষে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রথম কাজ হলো শপথ নেওয়া এবং সংসদে এসে জনগণের পক্ষে কথা বলা। তিনি তাই করেছেন। মনসুর জানান, তাঁর শপথ গ্রহণ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার ইচ্ছেরই প্রতিফলন।
এরপর বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সুলতান মনসুরকে বহিষ্কার করে জাতির কাছে ক্ষমা চান দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু।
মন্টু বলেন, দলের নীতিবিরোধী, আদর্শবিরোধী, জনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদের গণফোরামের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করা হলো এবং গণফোরাম থেকে বহিষ্কার করা হলো। একই সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য পদ থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা জাতির কাছে যে ওয়াদা করেছি তা রাখতে পারিনি। এজন্য আমরা জাতির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সুলতান মনসুর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই ভোটারদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শপথ নিয়েছি। কাজেই দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। মন্তব্য করাটাকে আমি নিষ্প্রয়োজন মনে করি।’