ঢাকা উত্তর সিটিতে তৃতীয় অবস্থানে বাতিল ভোট!
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে মেয়র পদে তিন প্রার্থীর পাওয়া একক ভোটের চেয়ে বাতিল করা ভোটের সংখ্যা বেশি। মোট বাতিল করা ভোটের সংখ্যা ১৯ হাজার ১১৩টি। অর্থাৎ, নির্বাচিত প্রার্থী আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর পরেই রয়েছে বাতিল ভোটের হিসাব।
এই উপনির্বাচনে মোট পাঁচজন মেয়র পদে লড়াই করেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম পেয়েছেন আট লাখ ৩৯ হাজার ৩০২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির শাফিন আহমেদ পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪২৯ ভোট। আতিকুল নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে সাত লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এর পরেই বেশি ভোট জমা হয়েছে বাতিল করা ভোটের ঘরে। মোট ভোট বাতিল হয়েছে ১৯ হাজার ৫১২টি। সেই হিসেবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাতিল করা ভোটের সংখ্যা।
এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রহিম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪০ ভোট। আবদুর রহিমের চেয়ে সাত হাজার ২৫৫ ভোট কম পেয়েছেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) আনিসুর রহমান দেওয়ান। তিনি পেয়েছেন আট হাজার ৬৯৫ ভোট। সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিবি) শাহিন খান। তিনি পেয়েছেন আট হাজার ৫৬০ ভোট।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।
এত সংখ্যক ভোট বাতিল হয়েছে কেন—জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম ফল ঘোষণা শেষে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, 'ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনে ১৮টি সম্প্রসারিত ওয়ার্ড যুক্ত হয়েছে। ওই এলাকাগুলো ঢাকা উত্তর সিটির ভেতরে হলেও ভোট দিতে তারা ততটা পারদর্শী না। ওই ১৮টি কেন্দ্রে বাতিল ভোটের সংখ্যা বেশি। অন্য এলাকায় যে ভোট বাতিল হয়নি, তা কিন্তু নয়।'
রিটার্নিং কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘কোনো কোনো ভোটার একাধিক প্রতীকে সিল মেয়েছেন। কেউ দুই প্রতীকের মাঝখানে সিল মেরেছেন। কিছু লোক সিলই মারেননি। সে ভোটগুলোই বাতিল হয়েছে। এখানে ভোটারদের অজ্ঞতাই বেশি দায়ী। অন্য নির্বাচনগুলোতেও বিভিন্ন কারণে ভোট বাতিল হতে দেখা যায়।'