সুন্দরবনে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরো দুই ‘জলদস্যু’ নিহত
এবার পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পুলিশের এই এলিট ফোর্সের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহতরা সংগঠিত জলদস্যু বাহিনীর সদস্য।
র্যাবের ভাষ্য, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের কলাগাছিয়া খালে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনটি অস্ত্র ও ৩২টি কার্তুজসহ বেশ কিছু গোলাবারুদ জব্দ করা হয়। এ সময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন সাহেব আলী (৩৫) ও হাবিবুর রহমান (৩০)। সাহেব আলী সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালি চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং হাবিবুর আশাশুনি উপজেলার বাগালি গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাবের দাবি, সাহেব আলী একটি জলদস্যু বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন আর হাবিবুর ছিলেন তাঁর সহযোগী। তাঁদের বিরুদ্ধে শ্যামনগর, আশাশুনি ও কয়রা থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এর আগে গত সোমবার র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলার) জোংড়া এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে চার বনদস্যু নিহত হয়েছে।
আজকের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে র্যাব-৬-এর সাতক্ষীরার কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জাহিদের ভাষ্য, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁর নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা সুন্দরবনের কলাগাছিয়া খাল এলাকায় জলদস্যু সাহেব আলী বাহিনীর সদস্যদের আটক করতে অভিযান চালান।
‘এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। প্রায় তিরিশ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যুরা কমপক্ষে ১০টি গুলি করে। র্যাবও পাল্টা গুলি করে। কিছু সময় পর দুই জলদস্যুকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।’
র্যাব কর্মকর্তা আরো দাবি করেন, তাঁদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গোলাগুলিতে র্যাব সদস্য কনস্টেবল আরিফুল ও কনস্টেবল শাকিল আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি র্যাব কমান্ডারের।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন জানান, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ শ্যামনগর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি সাতক্ষীরায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে।