২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কেমিক্যালের গোডাউন সরানোর ঘোষণা
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীর পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর ঘোষণা দিয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। এ কাজে সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ সহযোগিতা করবে।
আজ সোমবার নগর ভবনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণকল্পে এক বিশেষ জরুরি সভায় এসব কথা বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণকল্পে সোমবার নগর ভবনে বিশেষ জরুরি সভা করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সভায় রাজধানীর সব সেবা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেন এবং সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। সবার মতামতের ভিত্তিতে পুরান ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে দাহ্য কেমিক্যাল গোডাউন অপসারণের ঘোষণা দেন মেয়র।
মেয়র বলেন, ‘আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার এই টাস্কফোর্স অনগ্রাউন্ডে তৃণমূল পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে; পুরান ঢাকা থেকে এসব গোডাউন অপসারণ করার লক্ষ্যে।’
সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. জাবেদ পাটোয়ারি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য যা যা করণীয় তা আমাদের করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমেদ বলেছেন, ‘ওয়্যার হাউজটা দূরে রাখতে পারেন। অফিস থাকতে পারে। এভাবে আপনাদের ব্যবসা চলমান থাকুক।’
বিস্ফোরক অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম বলেন, ‘গ্যাস সিলিন্ডার রুলে পরিষ্কার বলা আছে সিএনজি সিলিন্ডারগুলো পাঁচ বছর পরপর টেস্ট হবে, এলপিজি সিলিন্ডারগুলো ১০ বছর পরপর টেস্ট হবে। এই পাঁচ বছর পরপর অনেকেই টেস্ট করতে চান না।’
তবে কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর ঘোষণায় আতঙ্কিত বোধ করছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী নেতা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের এটা করতে হবে। কেবল কেমিক্যালের জন্য না, আরো অনেক ইন্ডাস্ট্রি আছে যেমন প্লাস্টিকের জন্য করা দরকার।’
ব্যবসায়ী নেতা আবদুস সালাম বলেন, ‘আজকে বললে তো কাল সরবে না। আমার দোকানে স্যামপল থাকবে, কিছু কিছু মালও থাকবে। কিন্তু এই আইটেমগুলোর জন্য বাধা আছে। আমরাও চাই না মরণফাঁদের আইটেমগুলো কেউ বিক্রি করুক।’
ব্যবসায়ীনেতা আরিফ হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যেই যে ঘটনা ঘটছে, অপসারণের নামে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হচ্ছে।’
প্রথমত অবৈধ কেমিক্যাল গোডাউনের সন্ধান মিললেই বাসার পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। সম্পূর্ণ অপসারণ করতে এক মাস সময় লাগবে বলে সভায় বলা হয়।