কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিএনপির ২২ নেতাকর্মী কারাগারে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পুলিশের দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূরুল মিল্লাতসহ বিএনপির ২২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন শেষে আজ রোববার কিশোরগঞ্জের আমলি আদালত ২-এ আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ আব্দুন নূর তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানো ২২ নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যন নূরুল মিল্লাত, উছমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আজহার উদ্দিন লিটন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল লতিফ, পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি মো. ফুল মিয়া, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম মুছা, প্রচার সম্পাদক আরমান ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি রাজ আহাম্মেদ রকি।
বেআইনিভাবে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার অভিযোগে গত ২৪ ডিসেম্বর কুলিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল মিল্লাতকে প্রধান আসামি করে ৫৭ জন বিএনপি নেতাকর্মীর নামে একটি মামলা করেন।
অন্যদিকে নাশকতার উদ্দেশ্যে বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সরকারি কর্মচারী ও পুলিশ সদস্যদের মারধর করে সাধারণ ও গুরুতর জখম এবং ক্ষতি সাধনের অভিযোগে গত ১৩ ডিসেম্বর কুলিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা করেন।
উভয় মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়। উভয় মামলার আসামিরা গত ২১ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিন পান। হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষে আজ ২২ নেতাকর্মী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।