সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ নিশ্চিত করা হবে
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনা ছড়িয়ে দিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা আবশ্যক। নিয়ামতপুরসহ নওগাঁর জেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই এমন খবর আমাকে ব্যথিত করেছে। দ্রুতই এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে সরকারিভাবে সহায়তা দেওয়া হবে।
শনিবার বিকেলে নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, এটা আমাকে খুবই ব্যথিত করেছে। মাতৃভাষা রক্ষার জন্য বাঙালিরা রক্ত দিয়ে পৃথিবীতে নজির সৃষ্টি করেছে। সেই ভাষা আন্দোলনের চেতনা থেকেই বাঙালির হৃদয়ে স্বাধীনতার তাগিদ অনুভূত হয়েছে। তাই আমাদের জাতীয় চেতনায় ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এই চেতনা ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবশ্যই শহীদ মিনার থাকা উচিত।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসন এরই মধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজ অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণের সামর্থ নেই, সেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে।
মন্ত্রীর সংসদীয় এলাকা নিয়ামতপুর উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র বর্মণ।
এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন, মান্দা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হাফিজুল ইসলাম, নিয়ামতপুর থানার ভাপ্রাপ্ত কমকর্তা (ওসি) তোরিকুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।