‘ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াহেদ ম্যানশন টিকিয়ে রাখা যাবে না’
চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘ওয়াহেদ ম্যানশন’কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১ সদস্যের তদন্ত কমিটি।
আজ শুক্রবার সকালে ওই কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
ভবনটির একাধিক তলা ঘুরে দেখেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। মূল ভবনটি ছাড়াও পাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনও পরিদর্শন করেন তাঁরা।
পরে সাংবাদিকদের তদন্ত কমিটির সদস্য বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘আমরা ভবনটি ঘুরে দেখেছি। ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোর এবং দ্বিতীয় তলায় বিম ও কলাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খুব সম্ভবত ভবন টিকিয়ে রাখা যাবে না। আমরা আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদনে জানাব।’
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের (প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পরিচালক লে. কর্নেল এস এম জুলফিকার রহমান বলেন, ‘১০ কাঠা জমির ওপরে ভবনটি হলেও এখানে ফায়ার ইকুপমেন্ট ছিল না। তা ছাড়া ভবনটির একটিমাত্র সিঁড়ি রয়েছে। যেটাও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনাযোগ্য।’
জুলফিকার রহমান আরো বলেন, ‘দ্বিতীয় তলায় লাইটারের গোডাউন ছিল। যার ফলে আগুনের বেগ আরো দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা নিয়ন্ত্রণ অযোগ্য। তা ছাড়া পুরো ভবনেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে কেমিক্যাল ছিল। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিমকে কমিটির আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ঢাকা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী, অধ্যাপক ড. ইশতিয়াক আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা, উন্নয়ন) লে. ক. এস. এম. জুলফিকার রহমান, ডিএসসিসির অতি. প্রধান প্রকৌশলী (অ. দা.) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. জাফর আহমেদ, ডিএসসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম, রাজউকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম, রাজউকের পরিচালক মো. শাহ আলম, রাজউকের অথরাইজড অফিসার মো. নুরুজ্জামান জহির, ডিএসসিসির পরিবেশ, জলবায়ু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু হালেম।