বিনিয়োগ, প্রশিক্ষণ, শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানা খাতে সহযোগিতা দেবে অস্ট্রিয়া। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে উভয় দেশই লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

আজ বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সফররত অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কারিন নেইসল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘রূপকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমাদের প্রচুর বিনিয়োগ, প্রযুক্তি সহায়তা ও বাণিজ্য প্রয়োজন। এসব বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। এ ছাড়াও দক্ষতা বৃদ্ধি, শিক্ষার গুণগত মান, ই-লার্নিং, বিদ্যুৎ উৎপাদন, ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ নানা বিষয়ে অস্ট্রিয়ার বিশেষজ্ঞ মতামত আমরা প্রত্যাশা করি।’

বৈঠকে দুই দেশের বিনিয়োগ, বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে উভয় মন্ত্রীই জানান, ঢাকা-ভিয়েনা সরাসরি ফ্লাইট চালু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়ানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান ড. কারিন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরাসরি অস্ট্রিয়ার এককভাবে কাজ করার সুযোগ নেই। সম্মিলিতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মিয়ানমার উভয়কেই গুরুত্ব দিতে হবে। মিয়ানমার এখন অনেক বিদেশি সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগের গন্তব্যে পরিণত হয়েছে, সুতরাং সেসব দেশেরও দায়িত্ব মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের আমন্ত্রণে সকালে ঢাকা পৌঁছান অস্ট্রিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন। ভাষা শহীদদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জানানোর কথা রয়েছে। সফররত কারিন নেইসল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।