‘জিয়া’র নাম মুছে ফেলায় চট্টগ্রাম বিএনপির ২ দিনের কর্মসূচি

Looks like you've blocked notifications!
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ ম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রামের জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।

মঙ্গলবার সকালে নগরীর নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোট নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ার, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা সরকার জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তুলেছে। এর পর পরই কিছু দুষ্কৃতিকারী জিয়া জাদুঘর থেকে প্রকাশ্যে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে দিয়ে একজন উপমন্ত্রীর নামে ব্যানার তুলে দেয়।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামে বিএনপি কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মো. ইব্রাহিম। ছবি : এনটিভি

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুষ্কৃতিকারীদের তাণ্ডব চলাকালে পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

অবিলম্বে দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, জিয়ার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন ও সমাবেশের ঘোষণা দেয় নগর বিএনপি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, এইসব অর্বাচীন কাজ যারা করে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব তাদের, আমরা তাদেরকে দুষ্কৃতিকারী হিসেবেই চিহ্নিত করব। এই দায়িত্বটা হচ্ছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে যারা চাকরি করেন তাদের, মতিউর রহমান সাহেবদের। তাকে আমরা বলে দিয়েছি। তাদেরকে চার-পাঁচদিনের সময় দিয়েছি। যারা নাম মুছে দিয়েছে এবং মুখ ঢেকে দিয়েছে। সেটা তারা ঠিক করবে। অন্যথায় আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করব।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম বলেন, যারা দোষী তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হোক, শহীদ জিয়ার নাম পুনরায় সেখানে স্থাপন করা হোক। যে কালি তাঁর নামের ওপর দেওয়া হয়েছে তা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষকের মুখে দেওয়া হয়েছে।