স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা নির্ধারণে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!

দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা নির্ধারণ এবং আইন অনুসারে তা প্রদর্শনের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরর যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বাধীন এ-সংক্রান্ত কমিটিকে এই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রিটকারীর আইনজীবীর এক আবেদনের শুনানি শেষে আজ  মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারীর আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এর আগে হাইকোর্ট তার আদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকার বিষয় প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে আদালতে কোনো প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। তাই বিষয়টি আদালতকে অবহিত করতে আদালত পুনরায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।’

২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সব বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।

পাশাপাশি ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেন আদালত। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এসব আদেশ দেন।

এ ছাড়া দেশের সব জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০টি আইসিইউ বা সিসিইউ বেড স্থাপন করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরীক্ষা এবং এসব পরীক্ষার মূল্য তালিকা কেন প্রদর্শন করা হবে না এবং বেসরকারি ক্লিনিকগুলো যাচাই-বাছাই করে কেন লাইসেন্স দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চান আদালত।

হিউম্যান রাইটস ল’ইয়ার্স অ্যান্ড সিকিউরিং এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি অব বাংলাদেশের পক্ষে কোষাধ্যক্ষ মো. শাহ আলম রিটটি দায়ের করেন। রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে ‘দ্য মেডিক্যাল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবেরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’-এর ১৪ ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। এই ধারায় বলা আছে, ‘ডিজি (হেলথ) অথবা তার মনোনীত কোনো কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ ছাড়া কোনো আদালত এ অধ্যাদেশের অধীন কোনো অপরাধ আমলে নিতে পারবেন না।’

রিট আবেদনে ৩০ দিনের মধ্যে সব অনুমোদিত এবং অনুমোদনহীন প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যন্ত্রপাতিসহ তালিকা দাখিল, সব জেলা সদরের হাসপাতালে ৩০ বেডের আইসিইউ/সিসিইউ স্থাপন, মেয়াদহীন ওষুধ ব্যবহারে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বিএসটিআই অনুমোদিত ওষুধ ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।