‘শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যায় না’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন,‘শুধু আইন দিয়ে দুর্নীতি দমন করা যায় না। দুর্নীতি করলে আইন দিয়ে শাস্তি দেওয়া যায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ডুবে থাকা দুর্নীতি দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় সিলেবাস পরিবর্তন করতে হবে।’
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম আয়োজিত ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযান ও নেতৃত্বের সাফল্য’ শীর্ষক সেমিনারে আইনমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
দুর্নীতি দূর করতে সরকার মূলে হাত দিয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশে আর দুর্নীতি হতে দেওয়া যায় না। কারণ দুর্নীতি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ও চেতনাকে আঘাত করছে। দুর্নীতি দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করছে। দুর্নীতি সামাজিক অবক্ষয় ও সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। দুর্নীতির কারণে অনেক পেশা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে সে পেশার আদর্শ ও নৈতিকতা। তাই যেকোনো মূল্যে আমাদের দুর্নীতি দমন করতে হবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি দুর্নীতি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সর্বক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে কারণ সবকিছিু ডিজিটাল হলে দুর্নীতি স্বয়ক্রিয়ভাবে কমতে থাকবে।’
সবকিছু ডিজিটাল হলে দুর্নীতি অচিরেই কমে যাবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘কথা উঠেছে আড়াই কোটি টাকা চুরি করেছে তো কী হয়েছে। কত হাজার হাজার কোটি টাকা ডেসটিনি চুরি করে নিয়ে গেছে তার তো বিচার হলো না। আড়াই কোটি টাকা চুরি করেছেন দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী, আর এই টাকা কার ছিল? এতিমের টাকা ছিল। একজন প্রধানমন্ত্রী যখন এতিমের আড়াই কোটি টাকা চুরি করেন তার জন্য ১০ বছরের সাজা খুব বেশি কিছু না। এটার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী ব্যক্তিও আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
সংগঠনটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব), কলামিস্ট সুভাষ সিংহ রায়, ড. মিল্টন বিশ্বাস অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।