ভোটে বড় দল না আসায় হতাশ সিইসি

Looks like you've blocked notifications!

বড় বড় রাজনৈতিক দলের উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা ইসির জন্য হতাশার খবর। তবু উপজেলা নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের উপজেলা নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এই মন্তব্য করেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রধান বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বড় কয়েকটি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে না। এটা ইসির জন্য হতাশাজনক খবর। তবু উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলেও প্রতিযোগিতামূলক হবে।’

কেন নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে, তার ব্যাখ্যা দিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে কারণ, এটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন। এ ধরনের নির্বাচনে স্থানীয়রা প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক হয়।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে পক্ষপাতমুক্ত আচরণ করতে হবে। কেউ কোনো ব্যক্তি, দল, প্রার্থীর প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে ইসি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তদন্তে দোষী প্রমাণ হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কীভাবে সুন্দর নির্বাচন সুষ্ঠু করা যায়, সেই প্রশিক্ষণ দিতে হবে অন্যদের। প্রিসাইডিং অফিসারদের যত ভালো প্রশিক্ষণ দিতে পারবেন, তত ভালো হবে নির্বাচন।’

কে এম নূরুল হুদা আরো বলেন, ‘আপনাদের কোনো দল নেই, মত নেই। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সংবিধান, নির্বাচনী আইন ও বিধির বাইরে আর আপনাদের কারো কাছে দায়বদ্ধতা নেই।’

ভোটের দিন পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা বিধানে সবাইকে যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আপনাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। ভোটের দিন অনেক এজেন্ট প্রার্থীর অবস্থা ভালো না দেখলে কেন্দ্র ছেড়ে যান। অনেক দুর্বল প্রার্থী আবার এজেন্টই দিতে পারেন না। এমন বাস্তবতায় ভোট শেষে অনেকে তাদের এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন, যা অনেকাংশেই সত্য নয়। ফলে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাইকে পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে অবস্থান, তাদের নিরাপত্তা বিধান ও ভোট শেষে এজেন্টদের হাতে ফলাফলের একটি করে শিট ধরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।’