এসপির আশ্বাসেও রক্ষা পেলেন না কাবিল মেম্বার

Looks like you've blocked notifications!

প্রতিপক্ষের হাতুড়িপেটায় আহত মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও বিএনপি নেতা মো. কাবিল মোল্ল্যা (৪৫) ফরিদপুর সদর হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

কাবিল মোল্লা নহাটা ইউপির সাবেক ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা রয়েছে।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, জমিজমা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষরা গত বুধবার সন্ধ্যায় পানিঘাটা গ্রামের বাসিন্দা কাবিল মেম্বারকে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাঁকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে ফরিদপুর হাসপাতালে পাঠালে আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

হত্যার ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি রবিউল ইসলাম।

জেলা বিএনপির সদস্য ও নহাটা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় নহাটা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বিএনপি নেতা কাবিল মেম্বার। তখন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল লিটনের নেতৃত্বে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর ওবায়দুল মেম্বার, মিটুল, হামিদুর ও তুরফান কাবিল মেম্বারকে ধরে পানিঘাটার পাঁচমাথা এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে কাবিলকে হাতুড়িপেটা করে মারাত্মক আহত অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে তাঁকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর নেওয়া হলে শুক্রবার ভোরে তিনি মারা যান।

আকতারুজ্জামান জানান, নিহত কাবিল মেম্বারসহ পানিঘাটা, জয়রামপুরের প্রায় অর্ধশত মানুষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে লিটন বাহিনীর হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছাড়া ছিল। গত ৩০ জানুয়ারি মাগুরার পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে আবেদন করে বাড়িঘরে ফিরে আসার জন্য লিখিত আবেদন করেন। পুলিশ সুপারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা গ্রামে ফিরে আসেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, তিনি সবাইকে সহাবস্থানে থাকার জন্য বলেছিলেন। কাবিল মেম্বার নিহতের বিষয়ে অভিযোগ থানায় গেলে হত্যা মামলা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।