বিএনপি প্রার্থীদের মামলা আমলে নিচ্ছে না আ.লীগ

Looks like you've blocked notifications!
আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি : এনটিভি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে হাইকোর্টে বিএনপি প্রার্থীদের মামলার বিষয়ে বিব্রত নয় আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশন দেখবে।

এ ছাড়া আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলটির প্রার্থীরা অংশ নিয়ে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হওয়ার আশা করেন কাদের। আজ শুক্রবার আওয়ামী লীগের ধানমণ্ডির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গত দুদিন ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন বিএনপির প্রার্থীরা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ কী ভাবছে, তা নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, মামলার বিষয়টি আমলে নেওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সম্পূর্ণ এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে যদি কেউ মামলা করেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পর, এ বিষয়ের দায়টা বর্তায় নির্বাচন কমিশনের ওপর। তারা এখন আদালতে গিয়ে মোকাবিলা করবে, আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হবে। এটাই নিয়ম। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার।’ 

দল হিসেবে বিএনপি ‘এলোমেলো অবস্থায়’ আছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপি দলীয় সিদ্ধান্ত নিলেও দলটির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা তা মানবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলীয়ভাবে দলীয় প্রতীকে অংশ না নিলেও অনেক জায়গায় স্থানীয়ভাবে তাদের অনেক প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই হিসেবে দলীয়ভাবে না হলেও তাদের (বিএনপি) উপস্থিতি এখানে থাকছে। স্থানীয় নির্বাচনে অন্যান্য দলের প্রার্থী ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকে। কাজেই এখানে নির্বাচন একেবারে উত্তাপহীন পরিবেশে হবে এমনটা বলা যায় না।’

জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের পদত্যাগ এবং মুক্তিযুদ্ধে দলটির ভূমিকা নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে বিষয়টি আওয়ামী লীগ কীভাবে নেবে—সে বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমার চাওয়ার পরই বিষয়টি নিয়ে ভাববে তাঁরা। আর জামাতের নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতের ওপর নির্ভর করছে জানান তিনি।