স্বাভাবিক হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী, রোগীরা ফিরছেন

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের পর আজ শুক্রবার সকাল থেকে রোগীরা নিজেদের জায়গায় ফিরতে শুরু করেছেন। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ১২ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সকাল থেকে রোগীরা নিজেদের জায়গায় ফিরতে শুরু করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালে অবস্থান করা এক হাজার ২০০ রোগীকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া অনেকেই সারা রাত হাসপাতালের বাইরে কাটিয়েছেন।

হাসপাতালের ১৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে চারটি ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে শিশু ওয়ার্ড ও গাইনি ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি।

হাসপাতালের ওষুধ থেকে শুরু করে হুইলচেয়ার ও অন্যান্য জিনিসপত্র এ সময় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ছাড়া রেজিস্ট্রার খাতা ও নথিসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও পুড়ে যায়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

আগুন লাগার সময় হাসপাতালে মোট এক হাজার ২০০ রোগী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আইসিইউতে ছিলেন ১০ জন রোগী ও শিশু ওয়ার্ডে ছিল ৭০ জন।

অনেক রোগীর অভিযোগ, হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় তাঁদের প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক জিনিস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

হাসপাতালের তৃতীয় তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, হাসপাতালের নিচতলার স্টোররুম থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।

এদিকে আগুন লাগার কারণ জানতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক দলকেই আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এই প্রতিবেদনের পরেই অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যাবে।

এদিকে আজ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে হাসপাতালটি। অন্যান্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা রোগীদের অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন।

তবে ৯ নম্বর গাইনি ও শিশু ওয়ার্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই ওয়ার্ডের রোগীদের অন্য ওয়ার্ডে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নতুন গাইনি রোগী ভর্তি করানো হলেও ওয়ার্ডের অভাবে নতুন কোনো শিশু রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেছেন, ‘সবার ছুটি আমরা কর্তন করে দিয়েছি। এবং আজকে আমরা হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। আপাতত আমরা কোনো শিশু রোগীকে ভর্তি করাতে পারব না।’

হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মামুন মোর্শেদ বলেন, ‘শিশু ওয়ার্ডে আমাদের একটা ইলেকট্রিকের ভয়েডের মতো আছে, খুব সম্ভবত ওখান থেকেই আগুন লেখেছে, তবে এখনো বোঝা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।’