‘প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে আপনারা একমাত্র প্রজাতন্ত্র এবং সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির ওপর দায়বদ্ধ নন।’

আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এই মন্তব্য করেন।

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘যাঁরা উপজেলা পরিচালনা করবেন, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে আপনাদের দক্ষ পরিচালনার ওপর নির্ভর করবে যে কীভাবে সে নির্বাচন পরিচালিত হবে এবং এবং কীভাবে তারা নির্বাচিত হবে।’

সিইসি বলেন, ‘সমন্বয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো দূরে থাকব। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার, সংযুক্ত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং অংশগ্রহণ করবে, যারা প্রতিনিধিত্ব করতে চাইবেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভোটার। যাদের ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন হবে। আপনারা এসব লোকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন। এরা আপনাদের প্রতি তাকিয়ে আছে। সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পরিচালনা করবেন এই প্রত্যাশায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘মনে রাখতে হবে আপনাদের দক্ষতার ওপরে, পারদর্শিতার ওপরে, নিরপেক্ষতার ওপরে নির্ভর করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আমি আশা করি, কখনো কারো প্রতি কোনো রকমের দুর্বলতা আপনাদের থাকবে না। কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে আপনারা একমাত্র প্রজাতন্ত্রের এবং সংবিধানের কাছে দায়বদ্ধ। কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির ওপর দায়বদ্ধ নন। কারো প্রতি কোনো রকমের দুর্বলতা, অনুরাগ, বিরাগ কোনো কিছু আপনাদের থাকবে না। কেবল নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনার জন্য যতটুকু করার দরকার, ততটুকু আপনাদেরকে করতে হবে।’

সিইসি বলেন, ‘যদি কোথাও কোনো অনিয়ম হয়, প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত হয়ে যায়। প্রিসাইডিং অফিসার যদি সিদ্ধান্ত দেয় যে তার পক্ষে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব নয়। রিটার্নিং অফিসার হিসেবে মূল্যায়ন করে কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে নির্বাচন তার নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত, তাহলে সে কমিশনে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সুপারিশ করবে। কমিশনের কাছে তার যুক্তি যথাযথ মনে হলে সেই পুরো উপজেলার নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।