‘ভারতীয়রা রোহিঙ্গাদের ঠেলে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে’

Looks like you've blocked notifications!
সাতক্ষীরায় বিজিবির ৩৩ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বুধবার কথা বলেন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন সরকার। ছবি : এনটিভি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের  অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন সরকার বলেছেন, সাতক্ষীরা সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতীয়রা জোর করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘ভারতীয়রা সাতক্ষীরা সীমান্ত পথে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করছে। এমনকি বেশ কিছু দিন আগে সেখানে বসবাসকারী কিছু নাগরিককেও বাংলাদেশে পুশ ইন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিজিবি সতর্কতার সাথে তা প্রতিরোধ করছে।’

সীমান্তে চোরাচালানরোধে বিজিবির সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে গোলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি রাত দিন কাজ করছে। বিশেষ করে মাদক ও অস্ত্র পাচারের বিরুদ্ধে সীমান্ত সৈনিকরা সব সময় সতর্ক। সম্প্রতি চোরাচালান প্রতিরোধ করতে গিয়ে কাকডাঙ্গা সীমান্তের গাড়াখালিতে একজন বিজিবি সদস্য পানিতে ডুবে প্রাণও হারিয়েছেন।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরো বলেন, সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি সদস্যদের নিয়মিত টহলের পাশাপাশি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে চোরাচালান প্রতিরোধে প্রস্তুত। নিয়মিত অভিযানের ফলে বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে চোরাচালান পণ্য আটক হচ্ছে।

সম্প্রতি সাতক্ষীরা সীমান্ত পথ দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় চা পাতা প্রবেশ করছে। এ চা পাতায় মাদকের উপস্থিতি আছে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।

নারী ও শিশু পাচার প্রসঙ্গে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক বলেন, ‘সীমান্ত পারাপারকালে বিজিবি সদস্যরা পাচারকারীদের তাড়া করলে সে সময় পাচারকারীরা সাধারণত সীমান্তের নদীতে ঝাঁপ দেয়। ফলে তাদের ধরা কঠিন হয়ে পড়ে। তা সত্ত্বেও গত চার মাসে এ সীমান্ত পথে পাচারের শিকার বেশ কিছু নারী ও শিশুকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সৈনিকরা।’

এ ছাড়া সীমান্ত পথে ভারতে যাতায়াতকালে সাধারণ নাগরিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় বিজিবি সদস্যরা সবসবসময়ই সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করে, আগামীতেও করবে বলে জানান গোলাম মহিউদ্দিন। এ সবের বাইরেও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী, বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর ফজলে হোসেনসহ বিজিবির অন্য কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ মতবিনিময় সভায়  উপস্থিত ছিলেন।