নাইকো দুর্নীতি : অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি ২০ ফেব্রুয়ারি

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি : এনটিভি

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান এদিন ধার্য করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ এ মামলার আরেক আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজের পক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেন।

শুনানিতে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এ মামলার এজাহারে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অর্থ আত্মসাতেরও কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সব জায়গায় বলা হয়েছে, মওদুদ আহমদ অপিনিয়ন (মতামত) দিয়েছেন। আমি কোথাও কোনো অপিনিয়ন দিইনি।’

মওদুদ আহমদের শুনানি শেষ হলে মামলার আরেক আসামি শহীদুল ইসলামের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আসাদুজ্জামান শুনানি করেন। শুনানি শেষ না হওয়ায় আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে বিচারক ২০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

এদিকে আজ খালেদা জিয়া অসুস্থ বলে তাঁর আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনের ওপর শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ‘খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ। তিনি ঠিকমতো বসতে ও উঠতে পারেন না। তাই ম্যাডামের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে তাঁকে পুনরায় চিকিৎসা করানোর জন্য আবেদন করছি।’

এ বিষয়ে আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘ম্যাডামের চিকিৎসার ব্যাপারে হাইকোর্টের একটি আদেশ দেওয়া আছে। এর আগেও তাঁকে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা শেষ না হতেই কারাগারে নেওয়া হয়। এখন তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ।’

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক হাইকোর্টের আদেশ দেখতে চেয়েছেন এবং সে আদেশের পরে বিচারক চিকিৎসা করানোর আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

এদিকে আজ দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে হুইলচেয়ারে করে কারাফটকের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাঁর উপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠনের ও অসুস্থতার আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো মামলাটি করেন। পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।