সংরক্ষিত নারী আসনের ৪৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

Looks like you've blocked notifications!

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে সংরক্ষিত নারী আসন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম যাচাই-বাছাই শেষে জমা হওয়া সব মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।

আবুল কাসেম বলেন, কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তাঁদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘সংরক্ষিত আসনে আমরা ৪৯টি মনোনয়নপত্র বাছাই করেছি। বাছাইয়ে কোনো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। এ কারণে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি, ওই দিন কেউ যদি তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করেন, তাহলে ১৭ তারিখেই আমরা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করব।’

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি। ভোট গ্রহণ ৪ মার্চ। তবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোট গ্রহণ করা হবে না।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২৫৮টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দুটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদ দুটি, জাতীয় পার্টি—জেপি একটি ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন একটি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি ছয়টি ও গণফোরাম দুটি আসন পেয়েছে। আর স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিন প্রার্থী।

দল ও জোটের সংসদ সদস্য সংখ্যার অনুপাতে সংরক্ষিত আসন সংখ্যা বণ্টনের বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ ৪৩টি আসন, ওয়াকার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি চারটি ও স্বতন্ত্র তিন প্রার্থী জোট একটি এবং বিএনপি জোট একটি আসন পেয়েছে। তবে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা শপথ না নেওয়ায় আপাতত সেই পদটি খালি থাকছে। তারা সংসদ অধিবেশন শুরুর ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নিলে নির্বাচন কমিশন সেসব আসনে পুনরায় নির্বাচন দেবে। এরপর নারী আসনের একটি অবশিষ্ট পদ পূরণ করা হবে।

সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন—ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সুবর্ণা মুস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান; চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াসিকা আয়েশা খানম; কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ; খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা; কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত; ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম; গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী; বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা; জামালপুর থেকে হোসনে আরা; নেত্রকোনা থেকে হাবিবা রহমান খান শেফালী ও জাকিয়া পারভীন খানম; পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান; টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক ও খন্দকার মমতা হেনা লাভলী; সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম; মুন্সীগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা; নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম; নংরসিদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী; গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান; ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা; ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম; বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা; পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা; খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার; দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম; নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম সাকী; ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম; কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশিদা বেগম; মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন; রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী; শরীয়তপুর থেকে পারভীন হক শিকদার; রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন; মাদারীপুর থেকে তাহমীনা বেগম; পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।

জাতীয় পার্টির চার প্রার্থী হলেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার।

ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি দলটির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেননের স্ত্রী।

এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নারী আসনের প্রার্থী সেলিনা ইসলাম মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের স্ত্রী।