ঠাকুরগাঁওয়ে বিজিবি-জনতা সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ২

Looks like you've blocked notifications!

ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে ভারতীয় গরু তল্লাশিকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে স্থানীয় দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবির সঙ্গে গ্রামবাসীর এ সংঘর্ষে আরো কমপক্ষে ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে।

নিহতরা হলেন হরিপুর উপজেলার রুহিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নবাব (৩০) ও একই গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে সাদেক (৪০)।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ইউএনবিকে জানান, পার্শ্ববর্তী রানীশংকৈল উপজেলার যাদুরানীহাটে ভারতীয় গরু তল্লাশি করে বিজিবি। আজ ছিল হাটের দিন। হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় ঠাকুরগাঁও ৫০ বেতনা সীমান্ত ফাঁড়ির বিজিবি সদস্যরা কয়েকটি গরু আটক করেন।

স্থানীয়রা বলেন, ‘এ নিয়ে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে বিজিবি-গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিজিবি গুলিবর্ষণ শুরু করে। প্রায় আধা ঘণ্টা বিজিবি শতাধিক রাউন্ড এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন কমপক্ষে ১৫ জন।’

এলাকাবাসী জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত বাবু ও মিঠুনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বিজিবির গুলিতে অসংখ্য লোক আহত হয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। দুজন মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছেন।

বিজিবির ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, বিজিবি সদস্যরা কয়েকটি অবৈধ গরু আটক করে নিয়ে আসার সময় বহরমপুর এলাকায় চোরাকারবারিরা ধারালো অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধভাবে বিজিবির ওপর হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। এতে দুজন নিহত হন।

চোরাকারবারিদের হামলায় দুই বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।