অরিত্রীর আত্মহত্যা, তদন্ত প্রতিবেদন ১৯ মার্চ

Looks like you've blocked notifications!

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী এ দিন ধার্য করেন।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন না আসায় বিচারক নতুন করে দিন ধার্য করেন।’

২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী। মামলায় আসামি করা হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে। এর পরে শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করা হলে ঢাকার সিএমএম আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর পরীক্ষার হলে নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন পান এক শিক্ষিকা। মোবাইল ফোনটি রেখে দিয়ে তিনি অরিত্রীর বাবা-মাকে নিয়ে পরদিন আসতে বলেন। পরদিন সোমবার বাবা-মাকে নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেন বাবা দিলীপ অধিকারী। পরে বাসায় গিয়ে অরিত্রীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

এরপর দিলীপ অধিকারী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ভাইস প্রিন্সিপাল ও প্রিন্সিপালের রুমে গিয়ে তাঁদের ওই অভিযোগ শুনি। জোর হাত করে ক্ষমা চাই। মেয়েও পায়ে ধরে ক্ষমা চায়। কিন্তু তাঁরা কোনো কিছুই শুনতে না চেয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। বলেন, বের হয়ে যান, কাল এসে টিসি নিয়ে যাবেন। এ সময় দ্রুত বাসায় চলে যায় অরিত্রী। পেছনে পেছনে আমরাও যাই। বাসায় গিয়ে দেখি সে নিজের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিকেল সাড়ে ৪টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এদিকে, এ ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, তাঁর মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষক দায়ী।