পুলিশ বলে ছাড় দেওয়া হবে না : রিফাত রহমান
মানিকগঞ্জে ডাকবাংলোয় আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গঠিত দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ বলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম।
পুলিশ সুপার বলেন, এই ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দিকী।
রিফাত রহমান শামিম বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে ওই তরুণী এবং এর সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্তে প্রযুক্তির ব্যবহার নেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করলে কোনোভাবে ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম। ছবি : এনটিভি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার সরকারি ডাকবাংলোয় এক তরুণীকে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন পাঁচ বছর আগে তাঁর খালার কাছ থেকে সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে টাকা দিচ্ছিলেন না সেকেন্দার। ওই পাওনা টাকা আনতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে খালার সঙ্গে সাটুরিয়া থানায় যান তিনি। সেখানে সেকেন্দার হোসেনের সঙ্গে দেখা হলে তিনি দুইজনকে নিয়ে সাটুরিয়া ডাকবাংলোতে যান। কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হন একই থানার এএসআই মাজহারুল ইসলাম।
কিছক্ষণ পর ওই তরুণী ও তাঁর খালাকে আলাদা ঘরে নিয়ে আটকে রাখেন পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে অস্ত্র দেখিয়ে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়। পরে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সেকেন্দার ও মাজহারুল। পরদিন শুক্রবার সকালে তাঁদের দুজনকে ডাকবাংলো থেকে বের করে দেন তাঁরা।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই তরুণী।