‘ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এটা মনে করি না’

Looks like you've blocked notifications!

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ভোট কারচুপি করার জন্য ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বাংলাদেশে যত ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, ভালো করে খুঁজে দেখলে দেখা যাবে সেখানে কোনো না কোনো ছাত্রনেতা জড়িত আছে। এমতাবস্থায় ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, এটা আমরা মনে করি না। বর্তমান সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারচুপি ছাড়া অন্য কিছুই দিতে পারবে না।’

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এ মন্তব্য করেন হাফিজ উদ্দিন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম ওই সভার আয়োজন করে।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে রেখেছে। তারা (ছাত্রলীগ) ছাড়া আর কোনো ছাত্রসংগঠন ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারে না। হলে থাকতে পারে না। ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থান নেই। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় কী করে?’

তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগ ছাড়া সব সংগঠন দাবি করেছিল, একাডেমিক ভবনে ভোট গ্রহণ করা হোক। কেননা, ছাত্ররা যেহেতু হলে প্রবেশ করতে পারবে না, সেহেতু হলে যেন ভোট গ্রহণ করা না হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের এই দাবির প্রতি কোনো সম্মান করেনি। তারা পূর্বপরিকল্পিত ছক মেনে হলে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। যাতে সাধারণ ছাত্ররা আতঙ্কে ভোট দিতে যেতে না পারে।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এই ভোট ডাকাতির সরকার বিশ্বরেকর্ড করেছে। সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন হোক আর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হোক। সব নির্বাচনেই তারা ভোট ডাকাতি করেছে। এবার ছাত্র নির্বাচনকেও কলঙ্কিত করতে ডাকসু নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শুয়াইব আহমেদ, কৃষক দল নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।