খালেদা জিয়াকে অসুস্থ মনে হয় না : ড. হাছান মাহমুদ

Looks like you've blocked notifications!
রোববার চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি : এনটিভি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অসুস্থ মনে হয় না। তারপরও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে বিএনপি।

আজ রোববার চট্টগ্রামে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে অমর একুশে গ্রন্থমেলার অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর মুক্তি চেয়ে বিএনপি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে। এই আহ্বানের মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে। খালেদা জিয়ার সাজা দিয়েছে আদালত, মুক্তি দেওয়ার এখতিয়ার তো আদালতের হাতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো সেই এখতিয়ার রাখেন না।

এবারের মেলা উৎসবমুখর হবে বলে আশা প্রকাশ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপ্লব ঘটে গেছে। কোনো পত্রিকায় খবর নাও থাকে, তাও কিন্তু সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে লক্ষ-কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। তবে এর সুফল ছাড়াও নেতিবাচক দিক কম নয়।

বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়ান তথ্যমন্ত্রী। পরে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন, বইমেলা কমিটির আহ্বায়ক নাজমুল হক ডিউক।

মেলায় ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক প্রকাশক অংশ নিয়েছেন। চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ আয়োজিত ১৯ দিনব্যাপী মেলায় বই বেচাকেনার পাশাপাশি থাকছে একুশে সম্মাননা পদক প্রদান, সাহিত্য পাঠ, বিষয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতাসহ রবীন্দ্র, নজরুল উৎসব, বসন্ত বরণ, ভালোবাসা দিবসের উৎসব উদযাপন।

এর আগে আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার তাঁকে (খালেদা জিয়া) আদালত নামের কারাগারের আলো-বাতাসহীন ছোট্ট একটি রুমে এনে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তাঁর অসুস্থতা দিন দিন বাড়লেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। পুরোনো রোগগুলো বেড়ে গেছে। চোখেও প্রচণ্ড ব্যথা, পা ফুলে গেছে। নির্যাতন সহ্য করতে গিয়ে তাঁর পূর্বের অসুস্থতা এখন আরো গুরুতর রূপ ধারণ করেছে। তাঁকে বিশেষায়িত হাসপাতালের সুবিধা ও ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাঁর আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, হাত নড়াচড়া করতে পারেন না। রিস্ট জয়েন্ট ফুলে গেছে, সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলোসিসের জন্য কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা, এই ব্যথা হাত পর্যন্ত রেডিয়েট করে। হিপ-জয়েন্টেও ব্যথার মাত্রা প্রচণ্ড। ফলে শরীর অনেক অসুস্থ, তিনি পা তুলে ঠিকমতো হাঁটতেও পারেন না।’

‘এই রকম শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও অমানবিকভাবে কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ছোট্ট অপরিসর কক্ষের ক্যাঙ্গারু আদালতে’বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঘন ঘন হাজির করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরো বলেন, ‘মূলত খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নামে টানাহেঁচড়া করে নির্যাতন করা হচ্ছে। চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকলেও তিলে তিলে শেষ করে দেওয়ার জিঘাংসা চরিতার্থ করে চলেছে সরকার।’