ব্রিফিংয়ে রিজভীর দাবি

খালেদা জিয়ার পা ফুলে গেছে, ঠিকমতো হাঁটতেও পারেন না

Looks like you've blocked notifications!
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : এনটিভি

দীর্ঘ এক বছর ধরে কারাবন্দি অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে টেনেহিঁচড়ে জবরদস্তি করে আদালতে আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। এ সময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার তাঁকে (খালেদা জিয়া) আদালত নামের কারাগারের আলো-বাতাসহীন ছোট্ট একটি রুমে এনে এক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। তাঁর অসুস্থতা দিন দিন বাড়লেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। পুরোনো রোগগুলো বেড়ে গেছে।’

‘চোখেও প্রচণ্ড ব্যথা, পা ফুলে গেছে। নির্যাতন সহ্য করতে গিয়ে তাঁর পূর্বের অসুস্থতা এখন আরো গুরুতর রূপ ধারণ করেছে। তাঁকে বিশেষায়িত হাসপাতালের সুবিধা ও ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের দ্বারা নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাঁর আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, হাত নড়াচড়া করতে পারেন না। রিস্ট জয়েন্ট ফুলে গেছে, সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলোসিসের জন্য কাঁধে প্রচণ্ড ব্যথা, এই ব্যথা হাত পর্যন্ত রেডিয়েট করে। হিপ-জয়েন্টেও ব্যথার মাত্রা প্রচণ্ড। ফলে শরীর অনেক অসুস্থ, তিনি পা তুলে ঠিকমতো হাঁটতেও পারেন না।’

‘এই রকম শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও অমানবিকভাবে কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ছোট্ট অপরিসর কক্ষের ক্যাঙ্গারু আদালতে’ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঘন ঘন হাজির করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি আরো বলেন, ‘মূলত খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নামে টানাহেঁচড়া করে নির্যাতন করা হচ্ছে। চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকলেও তিলে তিলে শেষ করে দেওয়ার জিঘাংসা চরিতার্থ করে চলেছে সরকার।’

রিজভী সরকারের উদ্দেশে আরো বলেন, ‘হলমার্ক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের বিচার না করে দুই কোটি টাকার তথাকথিত প্রমাণহীন ও সংশ্লিষ্টতাহীন দুর্নীতির বিচারে ১০ বছর সাজা দেওয়া হলো। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যাতে কেউ মামলা করতে না পারেন, সে জন্য জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নের নামে মেগা মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে সেগুলো বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ এবং দফায় দফায় ব্যয় বৃদ্ধি কি দুর্নীতি নয়? খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডে যে মন্ত্রীরা উৎফুল্ল, তাঁরা আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখেন কখনো? যারা লাখো কোটি টাকা পাচার করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, উল্টো তারাই জাতির দণ্ডমুণ্ডের কর্তা সেজেছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহদপ্তর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।