ভৈরবে বিয়েতে অস্বীকৃতি, ধর্ষণ মামলায় প্রেমিক জেলে

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানা হাজতে প্রেমিক ও থানা কমপ্লেক্সে প্রেমিকা। পরে প্রেমিককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দীর্ঘ সাত বছর প্রেম ও মেলামেশার পর বিয়েতে অস্বীকৃতির কারণে প্রেমিকার বাবার করা ধর্ষণ মামলায় জেলে যেতে হয়েছে এক প্রেমিককে। গতকাল শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা ভৈরব থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। আজ শনিবার দুপুরে প্রেমিককে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।

দুই তরুণ-তরুণীর বাড়ি ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নে। মেয়েটি উপজেলার একটি কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন। প্রেমিক উপজেলার আরেক কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ছাত্রী তাঁর প্রেমিককে ভৈরব বাজারে পেয়ে পথরোধ করে বিয়ের দাবি জানান।  কলেজছাত্র বিয়ে করবে না জানালে দুজনের ঝগড়া শুরু হয়। এই দৃশ্য দেখে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। ভৈরব পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল আমিন ঘটনা দেখে দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করেন। খবর পেয়ে দুই পরিবারের লোকজন থানায় ছুটে যায়। তারা বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পরে গতকাল শুক্রবার রাতে মেয়েটির বাবা ভৈরব থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

ওই কলেজছাত্রী জানান, ওই ছাত্রের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সাত বছরের প্রেম। এই সময়ে তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকবার একত্রে রাত্রিযাপন করেছেন ওই ছাত্র। কিন্তু দুই বছর আগে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ওই ছাত্র তাঁকে এড়িয়ে চলা শুরু করেন। এ নিয়ে দুজনের সম্পর্কের টানাপড়েনে চার-পাঁচ মাস আগে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু এতেও তাঁর প্রেমিকের মন গলেনি।

কলেজছাত্রী দাবি করেন, ওই ছাত্র যেহেতু তাঁর সঙ্গে একাধিকবার রাত্রিযাপন করেছেন, সেহেতু তাঁকে বিয়ে করতেই হবে।

এদিকে কলেজছাত্র প্রেম ও রাত্রি যাপনের বিষয়টি স্বীকার করলেও তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কের বিষয় অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর সঙ্গে রাত কাটালেও শরীর স্পর্শ করেননি।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুই পরিবার মিলেও ঘটনাটি মীমাংসা করতে পারেননি। এই ঘটনায় প্রেমিকার বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেছেন। সেই মামলায় আজ দুপুর ২টার দিকে ওই কলেজছাত্রকে কিশোরগঞ্জ জেলে পাঠানো হয়েছে। আর মেয়েটিকে তাঁর পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।