রোহিঙ্গাদের জন্য টেকসই বৈশ্বিক সহায়তা চান অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) বিশেষ দূত ও হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা থেকে বিশ্ববাসীর মুখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত হবে না।
বাংলাদেশ সফর শেষ করার আগে জোলি আরো বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা এবং তাদের বাস্তুচ্যুতির চক্র বন্ধে সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি না দেখানো পর্যন্ত বৈশ্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
জোলির এ সফরকে সামনে রেখে অন্য বিভিন্ন সংস্থাকে সঙ্গে নিয়ে আগামী সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের জন্য চলতি বছরের অর্থায়নে ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্লান’ ঘোষণা করতে যাচ্ছে শরণার্থী সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোহিঙ্গা ও স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণের জন্য চলতি বছর ৯২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তা চাওয়া হবে।
ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত জোলি রোহিঙ্গাদের মানবিক প্রয়োজনগুলো নিরূপণ করতে গত সোমবার সকালে কক্সবাজার যান। পরবর্তী সময়ে টানা দুদিন তিনি জেলার রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন।
কক্সবাজার থেকে ফিরে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ অন্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন এ বিশেষ দূত।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এর আগে ২০০৬ সালে ভারত ও ২০১৫ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমার সফরকালে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে কাজ করা জোলি ২০১২ সালের এপ্রিলে সংস্থাটির বিশেষ দূত হিসেবে যোগ দেন।
নিজের কাজের মাধ্যমে জোলি বিশ্বের বিভিন্ন সংকট এবং ব্যাপকভাবে মানুষের স্থানচ্যুত বা বাস্তুচ্যুত হওয়ার ব্যাপারে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ ছাড়া এ হলিউড অভিনেত্রী বৈশ্বিক শরণার্থী বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনায় নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে হাজির থাকেন।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ইউএনএইচসিআরের বিশেষ দূত হওয়ার আগে সংস্থাটিতে ২০০১ সাল থেকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে ছিলেন।
বিরামহীন কাজ করে যাওয়া জোলি প্রায় ৬০টির মতো মাঠ পর্যায়ের মিশন পরিদর্শন করেছেন এবং বাস্তুচ্যুত বা শরণার্থীদের জন্য নিজেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রভাবকের স্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।