‘জামায়াত নিষিদ্ধের ব্যাপারে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় সরকার’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে আদালতের রায়ের অপেক্ষায় সরকার।’ তিনি বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রায় প্রত্যাশিত ছিল, ওই দিন আওয়ামী লীগের পক্ষে সারা দেশে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়।’
আজ বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে এ দেশের আপামর জনসাধারণ বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে। এ বিজয় ছিল খুবই প্রত্যাশিত। নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জরিপের ফলাফলে এ রকম পূর্বাভাসই দেওয়া হয়েছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি জোটের পরাজয়ের পিছনে কারণ মোর্চাটির নির্বাচনের প্রস্তুতিই ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘জোটটি এক আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন দেয় আর তাদের নেতৃত্ব নিয়েও সংশয় ছিল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির ধানের শীষ মার্কায় যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের মনোনয়ন তরুণ ভোটাররা মেনে নিতে পারেনি। তরুণেরা আর যাই হোক স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পক্ষ নিতে পারে না। এসব কারণেই ভোটাররা বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং নৌকার অনুকূলে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। এ কারণেই আমাদের এ বিশাল বিজয়।’
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা জানান, জামায়াতকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য যে নিবন্ধন লাগে নির্বাচন কমিশনের, তার শর্তগুলো তা পূরণ করতে পারেনি বলে তাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাদের নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে কোর্টে একটি মামলা রয়ে গেছে। সে মামলার রায় যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে সেখানে বোধহয় আমরা কোনো কিছু করতে পারি না। আমি আশা করি কোর্টের রায় খুব শিগগিরই যদি হয়ে যায় তাহলে জামায়াত দল হিসেবে নিষিদ্ধ হবে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার।