প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের পর গর্ভপাত!
বাবা প্রতিবন্ধী। দুটি মেয়েও প্রতিবন্ধী। আরেকটি মেয়ে সুস্থ হলেও তাঁর স্বামীর দুই চোখ অন্ধ। এমন একটি পরিবারের এক প্রতিবন্ধী মেয়েকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেছেন প্রতিবেশী চাচা ৫৭ বছর বয়সী আকরাম আলী। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে স্ত্রীর সহায়তায় তাঁর গর্ভপাত ঘটান। এরপর থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যন্ত্রণায় ছটফট করছে মেয়েটি।
অন্যদিকে অভিযুক্ত আকরাম আলী, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও মেয়ের জামাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। পুলিশ আসামিদের খুঁজছে।
সাতক্ষীরার কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে একটি মামলা করা হয়েছে। প্রধান আসামি আকরাম আলীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, প্রতিবন্ধী পরিবারের ওই তরুণীকে (২২) ছয় মাস ধরে পরিবারের সবার অগোচরে ভুলিয়ে ভালিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এরই মধ্যে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অবস্থা বেগতিক দেখে আকরাম আলী বিষয়টি তাঁর স্ত্রী মাসকুরাকে জানান। পরে তাঁরা তরুণীকে নিয়ে যান কলারোয়া উপজেলার সিংহলাল গ্রামে মেয়ের বাড়িতে। সেখানে রেখে তরুণীর গর্ভপাত ঘটানো হয়। ফলে তরুণী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এক সপ্তাহ আগে তাঁকে দ্রুত নিয়ে আসা হয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নির্যাতনের শিকার প্রতিবন্ধী মেয়েটির মা জানান, তাঁর মেয়ে এখনো অসুস্থ। তার চিকিৎসা চলছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।