‘তাবলিগ জামাতের বিরোধ মিটে গেছে’
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আয়োজিত ইজতেমা ও পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে তাবলিগ জামাতের মাঝে বিরাজমান বিরোধ মিটে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘উভয়পক্ষের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ইজতেমার পূর্বনির্ধারিত ঠিক থাকছে।’
তবে মোনাজাত পরিচালনা কে করবেন এবং মাওলানা সাদ ইজতেমার ময়দানে হাজির থাকবেন কি না, তা ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে উভয় পক্ষ ঠিক করে নেবেন।
আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেই আগামী ১৫, ১৬, ১৮ ফেব্রুয়ারি ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে ইজতেমায় নামাজের ইমামতি, মুনাজাত পরিচালনা ও মাওলানা সাদের উপস্থিতি নিয়ে উভয়পক্ষ ঐকমত্যে আসতে পারেনি। এরই প্রেক্ষিতে আজকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেন, ‘তুরাগ নদীর তীরে তাবলিগ জামাতের উদ্যোগে বিশাল ধর্মীয় জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়। গত কয়েক বছর ধরে তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিমত তৈরী হয়। এরই প্রেক্ষিতে সারা দুনিয়াতে তাবলিগ জামাত দুইভাবে ভাগ হয়ে যায়। বাংলাদেশেও তার কিছুটা প্রভাব পড়ে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন আরো বলেন, ‘তাবলিগ জামাতের বৃহত্তম জামাতটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সারা বিশ্ব থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশ নেন। সেই কারণেই সরকারের একটা বিরাট দায়িত্ব ও কর্তৃব্য রয়েছে এ ইজতেমাকে কেন্দ্র করে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিত যাতে স্বাভাবিক থাকে, মুসল্লিদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এ কারণেই সব বিষয় নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। উভয়পক্ষই শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করার বিষয়ে একমত পোষণ করেছে। আশা করছে আর কোনো সমস্যা হবে না।’
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অন্য দুই একটি বিষয় নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে ধর্মপ্রতিমন্ত্রী উভয়পক্ষের দুইজন করে মোট চারজন মুরব্বি নিয়ে বসবেন।’