ভুল প্রশ্ন বিতরণে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা
চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র বিতরণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর বকশিবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন দীপু মনি।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ছাপার ক্ষেত্রে যে ভুল, সেটি কীভাবে হলো তা দেখা হচ্ছে। বিতরণের ক্ষেত্রে যে ভুলটি হয়েছে, সেই ভুলগুলোর ক্ষেত্রে আমরা প্রতিবেদন চেয়েছি। যেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে, সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর যেখানে আমরা প্রতিবেদন চেয়েছি, সেখানে প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
চলমান এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনই চট্টগ্রামের কয়েকটি স্কুলে শতাধিক শিক্ষার্থী ভুলবশত আগের বছর ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে। এ ছাড়া গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, শেরপুর ও মুন্সীগঞ্জে গত বছরের প্রশ্নপত্র বিলি করা হয়।
এদিকে প্রশ্নপত্র যাচাই-বাছাই না করেই বিলি করার জন্য দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করেছে ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কেন্দ্র সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
চলমান এসএসসি, দাখিলসহ সব পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে পরীক্ষা চলাকালীন ফেসবুকে ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হুবহু নৈর্ব্যক্তিক ও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি স্বীকার করলেও কর্তৃপক্ষ বলছে, কোনো শিক্ষার্থী আগেই হল থেকে বেরিয়ে গিয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ছড়াতে পারে।
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়ম আছে পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা পরে চাইলে পরীক্ষার্থী বেরিয়ে যেতে পারে। সম্ভবত কোনো পরীক্ষার্থী যখন এক ঘণ্টা পরে বেরিয়ে গিয়েছে তার সেই প্রশ্নটা থেকেই এটি ছড়িয়েছে। কিন্তু সেটিও দেখা হচ্ছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান সাহেবই বলেছেন, এরপর থেকে এক ঘণ্টা পরে যদি কেউ বেরিয়ে যায়, তাহলে তার প্রশ্নটি কেন্দ্রে রেখে দিয়েই যেতে হবে।
আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না এমন আশা প্রকাশ করে ডা. দিপু মনি বলেন, পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।