বিএনপি সংসদে আসুক, তাদের দাবি বিবেচনা করব
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে সংসদে অবশ্যই একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা প্রয়োজন। আমরা চাই বিএনপি সংসদে এসে তাদের যৌক্তিক দাবিগুলো তুলে ধরুক। আমরা তাদের দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করব।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপির অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বিনিময়ে দলটি এলে অনেক বিষয়ে আলোচনা হতে পারত, না আসা নেতিবাচক রাজনীতি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগের ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে ত্রুটি-বিচ্যুতি ও প্রশ্ন ছাড়া নির্বাচন হয়েছে, কেউ বলতে পারবে না। অনেক বৃহৎ দেশেও নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। তাই বলে তাদের দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন থেমে থাকেনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণফোরামের দুজন সংসদ সদস্য শপথ নিতে পারেন বলে শুনেছি। তাঁরা যদি শপথ নিয়ে সংসদের আসন্ন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তাদের এলাকাবাসীর কথা বলেন আমরা অবশ্যই তাদের স্বাগত জানাব।
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বৃহৎ সব দেশই বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন।
বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বিজয়ী হয়েছেন। তাহলে কি আমরা ধরে নিব তিনিও কারচুপি করে বিজয়ী হয়েছেন?
আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিএনপি বেশ ভালো ফল করেছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তারা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। এবার যদি তারা নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে ভালো করতে পারে। তবে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য লড়াই করতে নামলেই ভালো ফল করতে পারবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করছি। নির্বাচন নিয়ে কারো মনে কোনো ধরনের সংশয় থাকা উচিত নয়।
বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নিতে সরকারি দল কোনো আহ্বান জানাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া, না নেওয়া প্রত্যেক দলেরই নিজস্ব এখতিয়ার। আমরা কাউকে আমন্ত্রণ জানাব না। কেউ চাইলে নির্বাচনে অংশ নিবে, না চাইলে নিবে না।