ঘুষ দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে : ইকবাল মাহমুদ
শুধু ঘুষ গ্রহণকারী নয়, এখন ঘুষ দাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তবে যারা বাধ্য হয়ে ঘুষ দেন তাদেরকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ধরে না, যারা লাভবান হওয়ার জন্য অবৈধভাবে অনৈতিকভাবে ঘুষ দেন ও ঘুষ গ্রহণ করেন তাদের দুজনেরই রেহাই নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আর দুদকের দেওয়া মামলায় পড়লে ক্যান্সার রোগের মতো সর্বশান্ত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস মিলনায়তনে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহামুদ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান ও জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, পুলিশ কমিশনার মাহাবুবুর রহমান মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।
দুর্নীতি হওয়ার আগে সবাই যেন প্রতিরোধ করে এমন আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদকের মামলা মানে একটি ক্যান্সার। ক্যান্সার যেমন জীবনের সহায় সম্বল শেষ করে দেয়। এটাও এমন এক প্রক্রিয়া যেখানে তার আর কিছুই থাকবে না।
আয়কর নিয়ে সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগের কথা উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা পাল্টাতে কাজের ধরন বদলাতে হবে। কাস্টমস হাউসে প্রায় ২০০ লোক নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকে। তারা ঘুরে বেড়ায়। এটি দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করেন তিনি।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, তদবিরবাজদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করেন। যেকোনো তদবিবাজরা বড় দুর্নীতিবাজ। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সহকারী ভূমি কমিশনারদের (এসি ল্যান্ড) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রচুর উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নতুন কর্মকর্তারা এ ক্ষেত্রে অনেক সাহসী ও সৎ। এসব তরুণ কর্মকর্তাদের কিছু কাজ দৃষ্টান্তমূলক বলে মনে করেন তিনি। তবে ভূমি অফিসের তহশিলদার ও কানুনগোরা এসব অনিয়মের ডন বলে জানান তিনি।
দুর্নীতি পরায়ন কর্মচারীদের ধরতে এসি-ল্যান্ডদের সব কাজ জানার পরামর্শ দেন দুদক চেয়ারম্যান। এ ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠানে সব মানুষের যাতায়াত সহজ করার আহ্বান জানান তিনি।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, আর শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত টার্গেট করে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের উপস্থিতি, নিশ্চিত লেখাপড়া ও পাঠদানে ফাঁকি দেওয়া যাবে না। শিক্ষকরা ক্লাসে থাকলে বাচ্চারা শিখবে। দুদক শিক্ষার ব্যাপারে বেশি ফোকাস করবে। বাচ্চারা না পড়েই এ প্লাস পাক আমরা চাই না। তারা পড়লে এ প্লাস পাবে।